শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

শাহরাস্তির ওয়ারুকে রেলের জায়গা দখল করে সীমানা প্রাচীর, সেপটি টাংকি নির্মাণ

গাজী মহিনউদ্দিন ও মজিবুর রহমান রনিঃ

চাঁদপুরের শাহরাস্তির ওয়ারুকে রেলওয়ের জায়গা দখল করে সীমানা প্রাচীর এবং সেপটি টাংকি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ওই উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব ওয়ারুক ফকির বাড়ির রোডে রেলের জায়গা দখল করে দেয়াল ও সেফটি টাংকি নির্মাণ করতে দেখা গেছে।

চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের শাহরাস্তি উপজেলার ওয়ারুক পূর্ব পাড়া ফকির বাড়ির রাস্তার চাঁদপুর-লাকসাম রেলওয়ের ১৫১/৪ নং পিলারে রেল লাইনের দক্ষিণ পাশে রেলওয়ের জমি দখল করে প্রায় ১৫০ ফুট লম্বা দেওয়াল ও সেফটি টাংকি নির্মাণ কাজ চলছে।

রেলওয়ের জায়গায় ব্যক্তি মালিকানা কোন ধরণের স্থায়ী স্থাপনা নিমার্ণ না করার বিধান থাকলেও তা অমান্য করেই এ কাজ চলছে। ওয়ারুক ফকির বাড়ির মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে মালেশিয়ান প্রবাসী মামুন ও মহিন রেলওয়ের জায়গা দখল করে সীমানা প্রাচীর এবং সেফটি টাংকি নির্মাণ করে আসছে।

রেলওয়ের ১৫১/৪ পিলারের রেল লাইনের মাঝখান থেকে দক্ষিণ পাশে ৬২ ফুট পর্যন্ত রেলওয়ের ভূমি। মামুন ও মহিন যে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে তা ৫৪ ফুটের অংশে রয়েছে।

তড়িৎ গতিতে দিনে রাতে সীমানা প্রাচীর এবং সেফটি টাংকি নির্মাণ কাজ চলছে। সিএন্ডবি রোড থেকে ফকির বাড়ির রাস্তার মূল অংশের জায়গা দখল করে মামুন ও মহিন সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে আসছে।

দেয়াল নিমার্ণ করতে স্থানীয় একাধিক বখাটে যুবককে ভাড়াটিয়া মাস্টান হিসেবে রেখেছে। তাদের সহযোগিতায় জোরপূর্বক মামুন এ রেলওয়ের জায়গায় সীমানা প্রাচীর এবং টয়লেটের সেপটি টাংকি নির্মাণ কাজ চালিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মোবাইল ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে মামুনের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে, চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী বলেন, রেলের জায়গা দখলের সুযোগ নেই। কেউ সরকারি সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করলে তা দখল মুক্ত করা হবে। বিষয়টি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমাদের কর্মকর্তা রয়েছে তাদের নির্দেশ দিচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com